Today final nidhas tropy bd vs india
ক্রীড়া প্রতিবেদক, কলম্বো থেকে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2018-03-17 20:50:34.0 BdST Updated: 2018-03-18 10:06:23.0 BdST
আগের রাতের ম্যাচ অনেকটা শুষে নিয়েছে জীবনীশক্তি। ফাইনালের আগের দিন তাই বিশ্রামে বাংলাদেশ দল। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে এলেন স্রেফ কয়েকজন। তাদের একজন সাকিব আল হাসান। নেটে ঘাম ঝরালেন বেশ। এরপর প্রত্যয়ী অবয়বে এলেন সংবাদ সম্মেলনে। চাপ আছে, শঙ্কা আছে। এর চেয়েও বেশি আছে আশা। ফাইনালের মহারণে গোটা দলকে নির্ভার হয়ে মাঠে দেখতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
RELATED STORIES
বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আরও একটি ফাইনালের মঞ্চে। আরেকবার স্বপ্ন দেখা। আশার বুক বাঁধা। পাশাপাশি শঙ্কার চোখ রাঙানি। ফাইনাল আবারও উপহার দেবে না তো স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা?
দেশের মাটিতে ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল, ২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনাল-একেকটি ফাইনাল বাংলাদেশের জন্য হতাশার অধ্যায়। যেখানে সর্বশেষ সংযোজন দেশের মাটিতে গত জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আরেকটি হার।
এমন সব স্মৃতির খোঁচা আছে। স্বপ্নকে বিদ্ধ করার জন্য আছে আরও একটি পরিসংখ্যানের কাঁটা। ফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারতকে সাতটি টি-টোয়েন্টি খেলে একবারও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে অতীতের বেদনার কালো ছায়া এবারের সম্ভাবনায় পড়তেই দিতে চান না সাকিব। বাংলাদেশ অধিনায়কের চাওয়া, নির্ভার থেকে ফাইনাল জয়ের চ্যালেঞ্জে নামা।
“আমরা চেষ্টা করছি যতটা রিল্যাক্স থাকা যায় এবং খোলা মনে থাকা যায়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভালো করার জন্য ফ্রি থাকাটা খুবই জরুরি। চাপ হিসেবে চিন্তা করলেই চাপ; আর না চিন্তা করলে চাপ না। আমি নিশ্চিত সবাই অনেক রিল্যাক্স আছে।”
“কালকের ম্যাচ পর্যন্ত যদি এটা ধরে রাখতে পারি তাহলে আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আশা করি, কেউ কোনো রকম চাপ নিবে না। শুধু খেলার দিকেই মনোযোগ দেবে এবং প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখার চেষ্টা করবে।”
ফাইনালে বারবার ব্যর্থ হওয়ার কারণ নিয়ে গবেষণা কম হয়নি। হতে পারে এটি একটি ‘মেন্টাল ব্লক’, বড় ম্যাচের ভাষাটা রপ্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ। বহন করতে পারেনি বড় ম্যাচের ওজন। দল হয়ত বুঝে উঠতে পারেনি, এমন বড় ম্যাচ জিততে এগোতে হয় কোন পথে।
মানসিকতার দুর্বলতা থাকতে পারে, অস্বীকার করছেন না সাকিব। তবে সেটা দূর করার মন্ত্র তার কাছে সেই একটিই। চাপমুক্ত থাকা।
“সবার মানসিকতা এক রকম না। সবার চিন্তাধারাও এক রকম না। (মানসিক বাধা) হয়ত কারও ওপর প্রভাব ফেলে, কারও ওপর ফেলে না। আমি আশা করব যেন, কারোর ওপরই প্রভাব না ফেলে। সেটা যদি না করে তাহলে আমাদের ভালো করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।”
হতাশাগুলোকে পেছনে ফেলে শঙ্কাটাকে পাশে রেখে সাকিব তাকাচ্ছেন সম্ভাবনাময় আগামীতে। নতুন ফাইনালকে দেখছেন নতুন সুযোগ।
“কয়েকটা ফাইনাল খেলেছি। আমাদের জন্য এটি আরেকটি সুযোগ। ভারত যদিও খুব ভালো দল। যেভাবে খেলেছে, তাতে ওরাই ফেভারিট। ভালো ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য থাকবে আমাদের। সবাই মুখিয়ে আছে ভালো করতে।”
- Get link
- Other Apps
Comments
Post a Comment